বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল, এই আইনেই তাদের কঠোর বিচার হবে: কৃষিমন্ত্রী

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান মোঃ কাওসার আহমেদ জেনিভ সিকদার এর সভাপতিত্বে মিশুক, বেবিট্যাক্সি, ট্যাক্সিকার, লেগুনা, মহেন্দা, অটোরিসা মালিক সমিতি এর কাঠালিয়া উপজেলা কমিটির মতবিনিময় ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে ৯মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে যেভাবে পাকিস্থানী ও তাদের দোসরদের পরাজিত করা হয়েছে তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতাকারীদের পরাজিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। 

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে যেমন ধ্বংস করা যাবে না তেমনি কেউ যদি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে বা ভাঙে তাহলে তাদেরকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো মোকাবেলা করে আবার পরাজিত করব। তাদেরকে আবার আমাদের পায়ের নিচে পড়ে ক্ষমা চাইতে হবে।শুক্রবার স্থানীয় শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল পৌরসভা আয়োজিত টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

ড. রাজ্জাক বলেন, একাত্তরে ৯মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে যেভাবে পাকিস্থানী ও দোসরদের পরাজিত করেছি, তারা আমাদের পায়ের নিচে অস্ত্র সমর্পণ করেছে, আজকে যারা মনে করছে এ দেশকে পাকিস্থানের ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে,তালেবানীয় আফগানিস্থান বানাবে, ধর্মীয় অনুভ‚তিকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবে তাদেরকে আমরা একাত্তরের মতো পরাজিত করব।কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যারা ভেঙেছে তাদের কী বিচার হবে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী তাদের এই কাজ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

এই আইনেই তাদের বিচার হবে। তাদেরকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।“কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরে বিএনপি জড়িত ও তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এদের সাথে জোট করে ক্ষমতায় এসেছিল। ভাঙচুরে অবশ্যই তাদের যোগসাজশ আছে। কিন্তু বিচার করতে গেলে প্রমাণ লাগে। প্রমাণসাপেক্ষে অবশ্যই তাদের বিচার হবে।

তারা যদি অর্থ দিয়ে থাকে বা অন্যভাবে সহযোগিতা করে থাকে তবে অবশ্যই তাদের বিচার হবে। যারা যারা অপরাধ করেছে তারা কেউই রেহাই পাবে না।“ড. রাজ্জাক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশটিকে শুধু স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে চান নি, তিনি এটিকে বলেছিলেন মুক্তির সংগ্রাম। দেশটিকে তিনি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ সব দিক দিয়ে স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং ন্যায়-সমতার ভিত্তিতে একটি অসা¤প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি দেশিয়-আন্তর্জাতিক ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

তারপর থেকে ২১ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করেছে। যার ধারাবাহিকতা হলো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা ও ভাঙচুর।কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভাস্কর্য ও ম‚র্তি এক নয়। ভাস্কর্যের একটা নান্দনিক দিক রয়েছে, এটি একটি শিল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে করে তাঁর আদর্শ ও চেতনাকে এ দেশের ভবিষ্যত বা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা যায়, জাগরূক রাখা যায়। ভাস্কর্য হচ্ছে স্মৃতিচিহ্ন বা স্মারক। এর মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্থ হবে এবং মানবপ্রেমে ও মানবসেবায় ব্রতী হবে।টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জুয়েল হিমু
টাঙ্গাইল 

আপনি আরও পড়তে পারেন